নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের ত্যাগী নেতা জাহিদ মোরলকে ঘিরে একদল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত স্বৈরশাসকের ১৬ বছরের শাসন আমলে হামলা-মামলার স্বীকার হয়েও রাজনীতির মাঠে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন প্রথম সারিতে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে তাকে চাঁদাবাজি ও দখলবাজ সঙ্গে জড়িয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঢাকা পোস্ট ও নয়া দিগন্ত যুবদল নেতা জাহিদ মোড়লের বিরুদ্ধে একটি ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীরা যুবদল নেতা জাহিদ মোড়লের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগী যুবদল নেতা জাহিদ মোড়ল এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানিয়েছেন।
চলমান এই ঘটনার বিষয়ে এলাকার ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বলছেন, জাহিদ মোড়ল যুবদলের একজন সক্রিয় নেতা সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে তার অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিজ দল ও বিরোধী দল এর জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ তার জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় শঙ্কিত হয়ে ওঠে। ফলে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানোর কৌশল নেয় তারা।
স্থানীয় যুবদল নেতারা বলছেন, জাহিদ মোড়ল কে রাজনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করতে প্রতিপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখল বাজির অভিযোগ তোলা হলেও কোনো ধরনের প্রমাণ এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং তার সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার একটি অপচেষ্টা।
য়ুবদল নেতা জাহিদ মোড়ল এর ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তারা বলছেন, মোহাম্মদপুরে বিএনপির দুইটি গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোঃ আব্দুল সালাম ও অন্য একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোঃ আতাউর রহমান ঢালী। দুজনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদপুর আদাবর ও শেরে বাংলা নগর থানা মিলে ঢাকার ১৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

জানাযায় যুবদল নেতা জাহিদ মোড়ল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালির অনুসারী। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তি স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা এই কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে। এক নেতা বলেন, “জাহিদ মোড়ল দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদল বর্তমানে যুবদল এর জন্য কাজ করে আসছেন। তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার করা হচ্ছে। যদি তার বিরুদ্ধে সত্যিই কোনো অপরাধের প্রমাণ থাকত, তাহলে প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিত।”
এদিকে, অনেক নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। তারা বলছেন, রাজনীতির নামে এ ধরনের অপপ্রচার নিন্দনীয় এবং গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি। যুবদল নেতা জাহিদ মোড়ল নিজেও এসব অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “আমি য়ুবদল জন্য কাজ করেছি এবং সব সময় রাজনীতির আদর্শকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একদল প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এসব মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আরও জানান, প্রতিপক্ষের মিথ্যা অপপ্রচারের কারণে তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান এবং এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মনে করছেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জাহিদ মোড়ল এর প্রভাব ছিল স্পষ্ট। এলাকায় ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তার জনপ্রিয়তা থাকায় প্রতিপক্ষরা তাকে পুরোপুরি রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে চাইছে। তাই তারা অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ, স্থানীয় নেতা কর্মীরা মনে করেন, এ ধরনের অপপ্রচার সংগঠনের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই যদি কোনো নেতাকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়,তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নেতা একই ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন।
এ ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নেতা প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া যেমন জরুরি, তেমনি নিরপরাধ কাউকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টাও কঠোরভাবে দমন করা উচিত।
রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো গণতন্ত্র ও নৈতিকতার পরিপন্থী। যুবদল নেতা জাহিদ মোড়ল এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নাকি ষড়যন্ত্র, তা সঠিক তদন্তের মাধ্যমেই প্রমাণিত হওয়া উচিত। তার বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচারের বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখিত তিন সন্ত্রাসীর মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এজাহারে উল্লেখিত জাভেদ, শাওন ও রুবেল নামের এসব সন্ত্রাসী সাবেক আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমের বডিগার্ড ছিলেন। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর মো: মনির হোসেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করে হলে। তিনি বলেন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলি ও চাঁদা দাবির করার ঘটনায় মো: জাহিদ মোড়লের কোন সম্পৃক্ততা নেই। জাহিদ আমার এলাকার ছোট ভাই ও অত্যন্ত ভালো ছেলে।সে দীর্ঘদিন মোঃপুর থানা ছাত্রদল থানা যুবদলে সভাপতি বর্তমানে মহানগর যুবদললের রাজনীতি করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে চিনি। আমার এই ঘটনায় কেন তাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এটা আমার বোধগম্য নয়। আম এই অপপ্রচার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সেই সাথে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে জাহিদ মোড়লের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান দুটি গণমাধ্যম রহস্যজনক কারণে আমাদের কোনো বক্তব্য না নিয়েই আওয়ামী লীগের দোসরদের পক্ষাবলম্বন করে আমার নাম ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে করে শুধু রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবেই নয়, আমার পরিবারেও আমাকে হেয় হতে হয়েছে।